দরুদ শরিফ পড়ার ফজিলত
একদিন
এক লোক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে নামাজ পড়ে দোয়া করল, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার
গুনাহ মাফ করো এবং আমার ওপর রহম করো!’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘ওহে
মুসল্লি! তুমি খুব তাড়াহুড়া করেছ। শোনো, যখন তুমি নামাজ পড়বে, তখন প্রথমে আল্লাহর
যথাযোগ্য প্রশংসা করবে, তারপর আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে এবং (সবশেষে নিজের জন্য)
দোয়া করবে।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসায়ি ও মিশকাত)
ভক্তির
সঙ্গে দরুদ শরিফ পড়লে বান্দার গুনাহ মাফ করা হয়। দরুদ পাঠের অশেষ সওয়াব সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর মাত্র একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ
তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করেন এবং কমপক্ষে তার ১০টি গুনাহ মাফ করেন। তার
আমলনামায় ১০টি সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন এবং আল্লাহর দরবারে তাঁর মর্যাদা ১০ গুণ বৃদ্ধি
করে দেওয়া হয়।’ (নাসায়ি)
দরুদ
ফারসি শব্দ। এর অর্থ শুভকামনা বা কল্যাণ প্রার্থনা। ধর্মের পরিভাষায় দরুদ বলতে
বোঝায় ‘আস সালাত আলান নবি’, অর্থাৎ নবীজি (সা.)–এর জন্য শুভকামনা। হজরত মুহাম্মদ
(সা.)-এর নাম উচ্চারণের সময় সর্বদা ‘সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ (অর্থ:
আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর ওপর) বলা হয়। এটি একটি দরুদ। আল্লাহর কাছে
ইবাদত-বন্দেগি গ্রহণযোগ্য করতে পরম ভক্তি ও ভালোবাসাভরা অন্তরে নিবিষ্টভাবে নবী
করিম (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা একটি নেক আমল। দোয়া কবুলের জন্য মহানবী
(সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত জরুরি। দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহর দরবারে
ইবাদতের বিনিময় সুনিশ্চিত হয়। দরুদ পড়া এমন এক ইবাদত, যা আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন।